
গণহত্যাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধে আবারও উত্তাল রাজপথ। দ্রুত সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন না এলে আবারও সারা ঢাকা শহরে ব্লকেড এবং ঢাকা মার্চ ঘোষণা করা হবে বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
তবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে চারটি রোডম্যাপ দিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. তুহিন মালিক।
শুক্রবার (৯ মে) রাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তিনি এ রোডম্যাপ দেন।
তুহিন মালিক লিখেছেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে ৪ রোডম্যাপ হলো౼১. ন্যাশনাল ও পলিটিক্যাল, ২. লিগ্যাল, ৩. জুডিশিয়াল, ৪. কন্সটিটিউশনাল।
১. ন্যাশনাল ও পলিটিক্যাল: ৫ আগস্ট পলিটিক্যালি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। ন্যাশনাল ও পলিটিক্যাল ঐকমত্য ও সিদ্ধান্তও কার্যকর হয়ে গেছে। নতুন করে এই ইস্যু আনা মানে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে পিছিয়ে দেওয়া। তবে নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া নিয়ে হয়তো প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই ভিন্ন রাজনৈতিক কৌশল থাকতে পারে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে বিএনপিসহ কারোই তো কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে বিএনপি তার অভিমত লিখিত ও মৌখিকভাবে জানিয়েছে। এক্ষেত্রে তারা সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে। সরকার সিদ্ধান্ত নিলেই তো হয়। কে বাধা দেবে? আপত্তি করার কেউ কী আছে?
২. লিগ্যাল: নির্বাহী আদেশ দিয়ে আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করাটা কালকের মধ্যেই সম্ভব। সেই সঙ্গে সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে, অবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিধান চিরস্থায়ী করে দেওয়া।
৩. জুডিশিয়াল: আইসিটি ট্রাইব্যুনালের আইনে সংগঠনের বিচার করার বিধান নাই। এতটা সময় চলে গেল, অথচ সরকার আইন সংশোধন করে এই বিধান যুক্ত করার সময় পায়নি। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করাটা কালকের মধ্যেই সম্ভব।
৪. কন্সটিটিউশনাল: নতুন সংবিধানে একাধিকবার গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধকরণ। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ মানুষের মনে এমনই ভীতি সৃষ্টি করেছে, অনেকে আতঙ্কগ্রস্ত, আওয়ামী লীগ ফিরে আসলে নিষিদ্ধের সব বিধান বাতিল করে দিয়ে চরমতম প্রতিশোধ নেবে। ভুল সবই ভুল। জেনে রাখুন, আওয়ামী লীগ আর কখনোই ফিরতে পারবে না। পৃথিবীর ইতিহাসে গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্টের কোনো প্রত্যাবর্তন হয় না। হলে ইতিহাস মিথ্যা হয়ে যাবে।