
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে নিরঙ্কুস জয়ের পর শিবির নেতারা প্রথমবারের মতো শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে দোয়া-মোনাজাত করেছেন। বিষয়টিকে অনেকেই জামায়াত-শিবিরের মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অবস্থানের পরিবর্তন হিসেবে দেখছেন।
তবে জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক গোলাম পরওয়ার জানালেন, মুক্তিযুদ্ধে ভুমিকার কারণে দলটির ক্ষমা চাওয়া বা অবস্থান পরিবর্তন প্রশ্নে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি জামায়াতে ইসলামী। এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত হলে দলীয়ভাবে জানানো হবে।
তার মতে, মুক্তিযুদ্ধকে পুঁজি করে যারা ব্যবসা করেছে, তারা লোকসানে পড়েছে। তবে ডাকসুজয়ী শিবির নেতাদের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে দোয়া-মোনাজাতকে স্বাগত জানায় জামায়াত।
এদিকে, জুলাই সনদ চূড়ান্ত হওয়ার পথে। এর মাঝে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। যেখানে বলা হয়েছে, জুলাই সনদ না মানলে নির্বাচনে প্রার্থিতা বাতিল হবে। কেউ সনদবিরোধী প্রচারণা করলে হবে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা।
এ নিয়ে গোলাম পরওয়ার বলেন, জুলাই সনদে এখনও স্বাক্ষর হয়নি। এটাকেই (জুলাই সনদের খসড়া) চূড়ান্তরূপ বলা যায় না। এগুলো পরিবর্তনশীল। আলাপ-আলোচনা করে দেখা হোক।
এভাবে কাউকে বাধ্য করার প্রস্তাব কতটা গণতান্ত্রিক? এমন প্রশ্নে অবস্থান স্পস্ট করেন জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল। বলেছেন, জুলাই আন্দোলন ও সনদ ফ্যাসিবাদবিরোধী ইতিহাসের দলিল। এর সুরক্ষা প্রয়োজন।
গোলাম পরওয়ার বলেন, জুলাই সনদ তো একটা বিরাট বিষয়। একটা কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান যে আন্দোলনে ঘটেছে, হাজার হাজার ছেলেমেয়েরা যেখানে জীবন দিলো এটা আমাদের দেশের ইতিহাসের অংশ। জুলাই আন্দোলন, জুলাই সনদ তো ফ্যাসিবাদবিরোধী একটা ঐতিহাসিক দলিল। এটাকে অস্বীকার করার অর্থ হচ্ছে তারা ফ্যাসিবাদের সাথেই থাকতে চান।