
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবি জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের মহাসমাবেশে বক্তৃতা করেন তিনি।
রফিকুল ইসলাম বলেন, ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকার দেশে একর পর এক গণহত্যা চালিয়ে। তারা প্রথমে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পল্টনে গণহত্যা চালিয়েছে। তারা গণহত্যা চালিয়েছে পিলখানা সদর দফতরে, দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তাদের হত্যার মধ্যদিয়ে। তারা গণহত্যা চালিয়েছে ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে আলেম-ওলামাকে নির্বিচারে হত্যা করে।
তিনি বলেন, তারা হত্যা করেছে জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীকে জুডিশিয়াল হত্যার মধ্যদিয়ে। জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য আমাদের নেতাদের হত্যা করেছে। সবশেষে জুলাই আন্দোলনে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে।
জামায়াত সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের দাবি– এই গণহত্যার বিচার করতে হবে। বিচারের নামে কোনো তামাশা বাংলাদেশের মানুষ মেনে নেবে না।
তিনি বলেন, এক বছর চলে গেছে, এখনও কোনো বিচারই দৃশ্যমান হয়নি। নির্বাচনের আগেই বিচারকার্য শেষ করতে হবে।
মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারের ভেতরে-বাইরে ফ্যাসিবাদের যত দোসর গণহত্যার সঙ্গে জড়িত তাদেরও গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কোনো ফ্যাসিবাদী শাসন ফিরে আসতে দেয়া হবে না। বাংলাদেশের মাটিতে আমরা কোনো ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হতে দেব না।’