

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, বুধবার বাদ জোহর মানিকমিয়া এভেনিউয়ে বেগম জিয়ার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে দাফন করা হবে স্বামী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের ঠিক পাশে।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল ৬টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বেগম খালেদা জিয়া ১৫ আগস্ট ১৯৪৫ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও বেনজির ভুট্টোর পর মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী।
গৃহবধূ থেকে রাষ্ট্রনায়কে উত্তরণের এই পথে চাপের কাছে নতি স্বীকার না করা এক সংগ্রামী ব্যক্তিত্ব তিনি। গণতন্ত্র, মাটি ও মানুষের প্রশ্নে আপসহীন এই নেত্রী চার দশকের পথচলায় হয়ে ওঠেন জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। তার নামের সঙ্গে নব্বইয়ের দশকেই জুড়ে যায় ‘আপসহীন’ শব্দটি। ১৯৮১ সলের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর ’৮২ সালে জিয়ার হাতে গড়া দল বিএনপির হাল ধরেন বেগম জিয়া। সহজাত দৃঢ়তায় স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্বের আসনে আসীন হন তিনি।
সেই সময় স্বৈরাচার এরশাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ’৮৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিলেও খালেদা জিয়া ছিলেন অনড়-অবিচল। সেই দৃঢ়তা পতন ডেকে আনে এরশাদের। সব সমীকরণ পাল্টে দিয়ে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনে দেশের জনগণ। ৩ বার দেশের প্রধানমন্ত্রী হন তিনি।
২০০৮ পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনে দুর্বিষহ হয় তার জীবন। চক্রান্তমূলক নানা মামলায় জড়ানো হয় বেগম জিয়াকে। উচ্ছেদ হন নিজ বাড়ি থেকে, স্বৈরাচারের রোষানলে জেলখানার নিষ্পেষণে শেষে মৃত্যু হয় ছোটো ছেলের। আর ২০১৮ সালে কারাগারে অন্তরীণ হওয়ার পর থেকেই একে একে জটিলতা বাধে শরীরে।