
দেশের সর্ববৃহৎ ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সংগঠনটির সাথে ধর্মীয় সংযুক্তি থাকায় বিভিন্ন সময়ে নানা বিষয় নিয়েই প্রশ্ন উঠে। সবকিছুর উর্ধ্বে অন্যতম একটি জামায়াত রাষ্ট্রক্ষমতায় এলে কেমন হবে নারীদের অবস্থান? আফগান-পাকিস্তান শাসনে চলবে কি দেশ?। নারীরা পাবে কি সামাজিক মর্যাদা?।
এসবের উত্তর মিলেছে, রাষ্ট্রক্ষমতায় এলে কেমন থাকবে বাংলাদেশের নারীদের অবস্থান? দেশের শীর্ষ এক বেসরকারি টেলিভিশনের অনুষ্ঠান ‘রাজনীতিতে’ নারীদের নিয়ে জামায়তের অবস্থান পরিস্কার করেন আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পাকিস্তান হবে না। আফগান্তিানও হবে না। বাংলাদেশ বাংলাদেশই থাকবে। তাহলে কেমন হবে সেই চিত্রটা? আমীরে জামায়াত বলেন আজকেও আমরা তিনটি দেশের রাষ্ট্রদূতের সাথে বসেছিলাম। এই প্রসঙ্গ সেখানেও এসেছে। এই প্রশ্নের জবাবে আগেও অনেকবার দিয়েছি, এখনও দিচ্ছি। বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম বিশ্বাস করে, নারী পুরুষের সম্মেলনে একটি সমাজ গড়ে উঠে। সমাজ তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যায়। নারীকে বাদ দিয়ে সমাজ নয়, পুরুষকে বাদ দিয়েও সমাজ নয়। যার যার অবস্থানে আল্লাহর দেওয়া মেধায়, পরিবার দেশ ও জাতি গঠনে ভূমিকা রাখবে। এটি তাদের ন্যায্য অধিকার। রাষ্ট্রীয় দায়িত্বও নাগরিক হিসেবে। তিনি আরো বলেন, আমরা যে আদর্শটা লালন করি তা আফগানিস্তান বা পাকিস্তান কেন্দ্রীক নয় । এটি হচ্ছে দুনিয়ার সবশেষ্ঠ রাষ্ট্র ব্যবস্থা। যেটা দেড় হাজার বছর আগে মানবতার মুক্তির জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মদিনা কেন্দ্রীক। আমরা সেই অবস্থাটা চাই, সেই রাষ্ট্রে নারীদের অবস্থান কেমন ছিল।
জামায়াতে আমির বলেন, মহানবী (সা.) মহিলাদের রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজেও যুক্ত করেছেন। এমকি যুদ্ধের ময়দানেও সঙ্গী বানিয়েছেন। তারা পুরুষদের সাথে থেকে যুদ্ধ করেছেন। মানবজীবনের সবচেয়ে কঠিন কাজের নামই হচ্ছে যুদ্ধ। সেই ময়দানেও যখন মহিলারা অংশগ্রহণ করেছেন। তাদেরকে গৃহবন্দী করে রাখা অথবা তাদের সামাজিক দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া। এই অধিকার কারো নেই।
জামায়তে ইসলাম ক্ষমতায় এলে হিজাব বাধ্যতামূলক করা হবে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে আমীরে জামায়াত বলেন, কাউকে কোনো কিছুইতে বাধ্যতামূলক করা হবে না। পোষাক পছন্দের দায়িত্ব নাগরিকের । রাষ্ট্র সবদিক থেকে সুস্থ সংস্কৃতি বিকাশে সহায়তা করবে। কাউকে কোনো কিছুতে বাধ্য করা ইসলাম পছন্দ করে না।