

হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে অপরাধীরা যাতে পাশের দেশে আশ্রয় পেতে না পারে সে বিষয়ে জাতিসংঘকে দায়িত্ব নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর)।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) আসরের নামাজের পর ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির কবর জিয়ারত শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
এদিন ওসমান হাদির কবরের পাশে দাঁড়িয়ে তার রুহের মাগফিরাত ও জান্নাতে তার উঁচু মাকাম কামনা করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির। পরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ওসমান হাদির জানাজায় যেভাবে লাখো মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে উপস্থিত হয়েছে তাতে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, বাংলাদেশকে নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না। ভারতীয় আধিপত্যবাদের কবর রচিত হয়ে গেছে।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, রাজধানী ঢাকায় হাদির মতো একজন জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করার পরে খুনি কীভাবে ঢাকা ত্যাগ করে দেশের সীমানা পার হয়ে গেল তা আমাদের বুঝে আসে না। সরকারকে বলব- অবিলম্বে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে হবে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এক দেশ অন্য দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে শ্রদ্ধা দেখানোই রীতি। সেখানে বাংলাদেশে রাজনৈতিক খুন-হত্যা করে অপরাধীরা যাতে পাশের দেশে আশ্রয় পেতে না পারে সে বিষয়ে জাতিসংঘকে দায়িত্ব নিতে হবে। পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের অপরাধীসহ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের অবিলম্বে বাংলাদেশের হাতে তুলে দিতে হবে, যাতে তাদের প্রাপ্য সাজা কার্যকর করা যায়।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায় করে উপস্থিত ছাত্র ও মুসল্লিদের নিয়ে সমবেতভাবে ওসমান হাদির জন্য দোয়া করেন চরমোনাই পীর। এ সময় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, শেখ ফজলে বারী মাসউদ, ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, ঢাকা-৭ আসনের প্রার্থী মুফতি কেফায়েতুল্লাহ কাশফি, যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান মুজাহিদ, ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুনতাসির আহমেদ, সহ-সভাপতি খাইরুল আহসান মারাজান, ইমরান হোসাইন নুর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইফ মুহাম্মাদ আলাউদ্দিনসহ দলের কেন্দ্রীয় ও শাখা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।