
আবারও শাপলা প্রতীক চেয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে চিঠি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এই চিঠিতে শাপলা প্রতীকের ৭টি নমুনা আঁকিয়েও পাঠিয়েছে দলটি।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম স্বাক্ষরিত এই চিঠি মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) ইসি সচিব বরাবর ই-মেইল করে পাঠানো হয়।
চিঠির ভাষ্য অনুযায়ী, গণমানুষের সঙ্গে শাপলা প্রতীক কেন্দ্রিক গভীর সংযোগ স্থাপিত হয়েছে এনসিপির। এটি ব্যতীত ইসির সংরক্ষিত তালিকা থেকে কোনও প্রতীক বেছে নেয়া সম্ভব নয় দলটির। বরং ইসির প্রতীক তালিকায় ‘শাপলা’ যুক্ত করতে নির্বাচন পরিচালনা বিধি সংশোধনের দাবি জানিয়েছে দলটি।
এক্ষেত্রে শাপলা, সাদা শাপলা বা লাল শাপলার যেকোনো একটি প্রতীক এনসিপির জন্য কমিশন বরাদ্দ রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
ইসির সঙ্গে প্রতীক নিয়ে একাধিকবার আলোচনার ধারাবাহিকতার বিষয়টিও এনসিপি তাদের চিঠিতে তুলে ধরেছে।
চিঠিতে এনসিপি নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় বিলম্ব করা এবং শাপলা প্রতীক বরাদ্দ না দিয়ে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত, আইনবহির্ভুত, বৈষম্যমূলক এবং স্বেচ্ছাচারী আচরণ’ করার অভিযোগ এনেছে।
দলটি মনে করে, এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন অসৎ উদ্দেশ্যে এনসিপিকে নির্বাচনী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়া থেকে বঞ্চিত করছে, যা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে ইসির সদিচ্ছাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।
প্রসঙ্গত, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দুটি দলকে নিবন্ধন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। তার মধ্যে একটি দল হচ্ছে এনসিপি। শাপলা প্রতীক পেতে তাদের অবস্থান অনড়।
কিন্তু কোনও দলকে শাপলা প্রতীক বরাদ্দ না দেয়ার সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে জানিয়েছে ইসি। ফলে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেলেও শাপলা প্রতীক ইসির নির্বাচন পরিচালনা বিধিতে না থাকায় এনসিপিকে বরাদ্দ দেয়া যাচ্ছে না বলে ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এরইপ্রেক্ষিতে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ইসির পক্ষ থেকে এনসিপিকে প্রতীক বাছাইয়ের জন্য চিঠি দেয়া হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে তা জানানোর জন্য চিঠিতে অনুরোধ করা হয়েছিল।