
ভোটে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে যারা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে চায় তাদের উদ্দেশ্য ভালো নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের।
বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগরে জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রের আইনি ভিত্তির মাধ্যমে আগামী জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করাসহ সাত দফা দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মো. তাহের বলেন, ‘অধিকাংশ দলই জুলাই ঘোষণাপত্রের ব্যাপারে মত, ভিন্নমত, ও নোট দিয়েছে। সব কিছুর বিষয়ে ঐক্যমত্য হওয়ার পরও একটি দল বলছে, এর আইনি ভিত্তি নেই। তাহলে কি এই ঘোষণাপত্রের আইনি ভিত্তি আছে? সরকার তো মুখে স্বীকার করছে, কিন্তু সে অনুযায়ী যদি বাস্তবায়ন না করে তাহলে ঈমান থাকে?’
সংস্কারের বিষয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টিকারীরাই নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করছে বলে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করা প্রধান উপদেষ্টার মৌলিক দায়িত্ব এবং জনগণের প্রধান চাহিদা। জুলাই ঘোষণা ও জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি প্রদান করতে হবে। তারপর এর আলোকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে।’
জামায়াতের নায়েবে আমির আরও বলেন, ‘এই সরকারের প্রথম সংস্কার দরকার ছিল মন্ত্রী-উপমন্ত্রী যে চেয়ারে বসে সেখানে। ৫৪ বছরে দেশের মানুষ সুষ্ঠু নির্বাচন পায়নি। আমরা ইলেকশন চাই, সিলেকশন নয়। জনগণের ভোটাধিকারকে আবারও হরণের চেষ্টা চলছে।’
জামায়াত ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘জনগণের মতের বিরুদ্ধে কোনো কাজ করলে জনগণ তা মেনে নেবে না। আগামী জাতীয় নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে করতে হবে।’