
দেশের অর্থনীতি এবং সার্বিক রাজনীতি নির্ভর করছে আসন্ন (ত্রয়োদশ) জাতীয় নির্বাচনের ওপর—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি অভিযোগ করেন, সামগ্রিকভাবে বিএনপিই বিগত বছরগুলোতে সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকালে ঠাকুরগাঁও জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা ও রুহিয়া থানা বিএনপির বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা দাবি করেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনামলে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর নজিরবিহীন নিপীড়ন চালানো হয়েছে। তিনি পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন, ‘প্রায় ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি, ২০ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা এবং তিন জন এমপিসহ ১ হাজার ৭০০ নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক কর্মীরা এখন অন্তত রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারছেন। ঠাকুরগাঁওয়ের অনেক নেতাকর্মী দীর্ঘ ১৫ বছর কারাগারে কাটিয়েছেন এবং মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন।’ এই পরিস্থিতিতে আইনি সহায়তা দেওয়ায় তিনি আইনজীবীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
গণভোট প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে মত দিয়েছে যে, একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করা যেতে পারে।’
ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সাল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরীফ, সদর বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ এবং রুহিয়া থানা বিএনপির সভাপতি আব্দুল জব্বারসহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।