জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি মতবিনিময়কালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন,‘গণতন্ত্র এখনও বিপদমুক্ত নয়। এমন পরিস্থিতিতে কোনো অপশক্তি যাতে আবার গণ-অভ্যুত্থানের চূড়ান্ত লক্ষ্য এবং সাফল্যের ধারাকে ব্যাহত করতে না পারে, এজন্য দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।’
সম্প্রতি সংখ্যালঘুদের ওপর সংঘটিত হওয়া একটা হামলাও সরাসরি ধর্মীয় কারণে নয়। বরং পতিত রাজনৈতিক দলের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল প্রত্যেকটা হামলার নেপথ্য কারণ। তাই একটা নাগরিক তদন্ত কমিশন গঠনের মাধ্যমে ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর বাসবাড়ি কিংবা ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলার ঘটনা উদঘাটন করে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে কে হিন্দু, কে মুসলিম এ প্রশ্নের কোনো জায়গা নেই। দেশে কেউ সংখ্যালঘু নয়, কেউ সংখ্যাগুরুও নয়। গত ১৬ বছরের বিচারহীনতার সংস্কৃতির অবসান ঘটাতেই হবে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘রাষ্ট্র ও সমাজের আইনের শাসন থাকলে সবাই নিরাপদ। না থাকলে কেউ নিরাপদ নয়। তাই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। প্রত্যেক নাগরিকের ভোটের অধিকার শক্তিশালী অস্ত্র। জবাবদিহিমূলক জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত কেউ নিরাপদ নয়।’