অন্যদিকে একই মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুকে ছয় দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটে (সিএমএম) আদালত আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) অনুপ কুমার দাস।
ধীরেন্দ্রনাথ শম্ভুকে গতকাল সোমবার রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ। আর আমির হোসেন আমুকে গ্রেপ্তার করা হয় ৬ নভেম্বর। পরদিন তাঁর ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।
পুলিশ ও আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আজ সকাল সাড়ে সাতটার পর ধীরেন্দ্রনাথ শম্ভুকে আদালতে হাজির করা হয়। ওয়াদুদ হত্যা মামলায় তাঁকে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ওয়াদুদ হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের শনাক্ত-গ্রেপ্তারের জন্য ধীরেন্দ্রনাথ শম্ভুকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।
অপর দিকে আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ড আবেদন নাকচের আরজি জানানো হয়। একই সঙ্গে ধীরেন্দ্রনাথ শম্ভুর জামিনের আবেদন করা হয়।
উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত ধীরেন্দ্রনাথ শম্ভুর ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অন্যদিকে ছয় দিনের রিমান্ড শেষে আজ আমির হোসেন আমুকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে পুলিশ লিখিতভাবে তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে।
অন্যদিকে আসামিপক্ষ থেকে আমির হোসেন আমুর জামিন চাওয়া হয়। এই আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
ওয়াদুদ হত্যা মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই বিকেল পাঁচটায় নিউমার্কেটের ১ নম্বর ফটকের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে কিছু আসামির যোগসাজশ, উসকানিমূলক বক্তব্য ও সরাসরি নির্দেশে গুলিবর্ষণ করা হয়। এতে ঘটনাস্থলে ওয়াদুদসহ অনেক ছাত্র-জনতা-পথচারী আহত হন। ওয়াদুদ (৪৫) নিউমার্কেট এলাকার প্রিয়াঙ্গন শপিং সেন্টারের নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাসায় ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এ ঘটনায় ওয়াদুদের আত্মীয় আবদুর রহমান বাদী হয়ে গত ২১ আগস্ট নিউমার্কেট থানায় মামলা করেন। মামলার আসামিদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আছেন।