‘যে উপদেষ্টা শিক্ষকদের সাথে কথা বলতে চান না, সেই উপদেষ্টার দরকার নাই’ -হাসনাত আব্দুল্লাহ

‘যে উপদেষ্টা শিক্ষকদের সাথে কথা বলতে চান না, সেই উপদেষ্টার দরকার নাই’ -হাসনাত আব্দুল্লাহ
প্রকাশিত

যে উপদেষ্টা শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে চান না, সেই উপদেষ্টার দরকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষকদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে তিনি এ কথা বলেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আজকে ১০ দিন ধরে শিক্ষকরা এখানে আন্দোলন করছেন। আমরা প্রথম দিন থেকেই শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির সঙ্গে এই শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছে। প্রেস ক্লাব থেকে শুরু করে আজকে পর্যন্ত আমরা এই শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছি।

তিনি বলেন, শিক্ষকদের বিভিন্ন দোষ দেওয়া হয়। তারা কেন প্রাইভেট পড়ায়? শিক্ষার্থীরা কেন ফেল করে? শিক্ষকরা কেন চাকরি ছেড়ে দেয়? নানাবিধ কারণে শিক্ষকদেরকে দায়ী করা হয়। কিন্তু সরকার কখনোই নিজের দোষটা দেখে না। ৫০০ টাকা দিয়ে একটা পরিবার কেন, একাও বাংলাদেশে ব্যাচেলার হিসেবে থাকা যায় না। শিক্ষা উপদেষ্টা আমরা ভেবেছিলাম, আপনি ক্ষমতায় আসার পরে আপনি দায়িত্ব নেওয়ার পরেও আপনি একটা শিক্ষা সংস্কার কমিশন করে দিয়ে শিক্ষকদেরকে প্রাধান্য দিয়ে যুগোপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে পারব। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, শিক্ষকদের যে দাবি সেটিকে রাষ্ট্রের প্রায়োরিটি লিস্টের সবসময় শেষের দিকে রাখা হয়।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, শিক্ষক সমাজ আমরা অনেককেই দেখেছি শিক্ষকতা পেশায় নিযুক্ত হয়েও এই শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে দিয়ে নানান পেশায় চলে যেতে, কেউ ব্যাংকের চাকরি পেলে ব্যাংকে চলে যায়, কেউ এনজিওতে চাকরি পেলে চলে যায়, নিজের ব্যবসা দার করতে পারলে তারা শিক্ষকতা ছেড়ে দিয়ে নিজস্ব ব্যবসা করে।

শিক্ষা উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনার যেই দারোয়ান, আপনার গাড়ির যে ড্রাইভার, এই গাড়ির ড্রাইভারের খোঁজ নিয়ে দেখেন ঢাকা শহরে পাঁচতলা বাড়ি রয়েছে। আপনার বাসায় যে রান্না করে, যে বাবুর্চি তাদের বেতন এই শিক্ষকদের বেতনের থেকেও বেশি। প্রথম শ্রেণির নাগরিক করার জন্য আপনি জাতি গড়ার কারিগরদের দায়িত্ব দিয়েছেন। কিন্তু এই জাতি গড়ার কারিগররা জীবন-যাপন করে চতুর্থ শ্রেণির। একটা চতুর্থ শ্রেণির জীবন-যাপন করে কেউ প্রথম শ্রেণির নাগরিক বানাতে পারে না।

তিনি বলেন, আমরা ভেবেছিলাম এই শিক্ষা উপদেষ্টা যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, তিনি শিক্ষকদের কষ্ট বুঝবেন। দুঃখ বুঝবেন। কিন্তু আমরা দেখলাম উনি আর রুম থেকে বের হতে চান না। শিক্ষকের সঙ্গে কথাই বলতে চান না। যে উপদেষ্টা শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে চান না, সেই উপদেষ্টার আমাদের প্রয়োজন নাই।

আরো পড়ুন

No stories found.
logo
The Metro TV | দ্য মেট্রো টিভি | The Metro TV Bangladesh | Bangla News Today | themetrotv.com |The Metro TV News
themetrotv.com