অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠিত শিক্ষা কমিশনকে প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, কায়সার মামুন ও সামিনা লুত্ফাকে শিক্ষা কমিশন থেকে না সরালে আবারও শাপলা চত্বরে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। শিক্ষা ব্যবস্থায় নাস্তিক্যবাদ বরদাশত করা হবে না।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহের আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার ও নৈরাজ্যবাদের বিরুদ্ধে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মামুনুল হক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা ব্যবস্থায় যেমন হিন্দুত্ববাদ বরদাস্ত করবো না, তেমনি নাস্তিক্যবাদ বরদাস্ত করবো না। কাজেই শিক্ষা কমিশনের মধ্যে যে সকল নাস্তিক, মুরতাদদের অন্তর্ভুক্ত করে দেশের আগামী দিনের শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কার করার চেষ্টা করছেন, এই নাস্তিক-মুরতাদ, বামদেরকে এখান থেকে সরাতে হবে।
মামুনুল হক বলেন, ইসলামবিরোধী কোনো এজেন্ডা যদি পশ্চিমা সভ্যতার পক্ষ থেকে আমার দেশে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয় আমরা রুখে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। যদি ইসলামবিরোধী এজেন্ডা, হিন্দুত্ববাদীদের পক্ষ থেকে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তা প্রতিহত করতে আমরা প্রস্তুত। আমরা দেশের প্রশ্নে মানবতার প্রশ্নে, ইসলামের প্রশ্নে কারও সঙ্গে আপোষ করতে প্রস্তুত না।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অন্য আরেকটি দেশের অঙ্গরাজ্যে পরিণত করতে চেয়েছিল উল্লেখ করে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব বলেন, শেখ হাসিনার রাজনীতি ছিল বাংলাদেশকে ধ্বংস করার রাজনীতি। আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক, ধর্মীয়, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও ভোটের অধিকার ছিনতাই করে এদেশে একনায়কতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল।
তিনি আরও বলেন, আমরা বলিষ্ঠ ভাষায় বলতে চাই শেখ হাসিনাকে উৎখাত করেছি নতুন কোনো ইসলাম বিদ্বেষী শক্তিকে বাংলার মসনদে দেখবার জন্য নয়। ইউনুস নেতৃত্বাধীন সরকারকে এখন পর্যন্ত আমরা সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। এবং আগামী দিনেও সহযোগিতার ইচ্ছা, আগ্রহ আছে। কিন্তু সেই ইচ্ছাটা সরকারেরও থাকতে হবে। সরকারকে বুঝতে হবে এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ছাড়া সরকার পরিচালনা সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি মুফতি হাবীবুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমেদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, সহ বাইতুল মাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য হেদায়াতুল্লাহ হাদী, মুহাম্মদ আবদুল মুমিন, ঢাকা দক্ষিণের সহ সভাপতি মুহাম্মাদুল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ময়মনসিংহ জেলা শাখার সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ওয়াসেক বিল্লাহ নোমান প্রমুখ।