জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, জুলাই সনদ গ্রহণের ক্ষেত্রে কোন কোন দল কিছুটা ব্যত্যয় ঘটানোর চেষ্টা করছে এবং এটিকে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তারা বাধা সৃষ্টি করছে। আমরা মনে করি এই জাতি যে রক্ত দিয়েছে, জীবন দিয়েছে, যেভাবে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে। জুলাই সনদ যারা মানবে না, এই আন্দোলনের স্টেকের ব্যাপারে তারা বিশ্বাসঘাতকতা করবে। জুলাই সনদের ভিত্তিতে যদি নির্বাচন না হয় তাহলে আগামীতে আমরা যে নির্বাচন দেখব সেটি অতীতের ব্যর্থ নির্বাচনগুলোরই পুনরাবৃত্তি ঘটবে। সে কারণে আমরা খুব স্পষ্টভাবে বলেছি, যে জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দিয়ে সেই জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী নির্বাচন করতে হবে। এই বিষয়ে একটি দুটি দল ছাড়া আর সকল রাজনৈতিক দল যারা জুলাই সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিল আমরা সকলেই একমত।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে স্থানীয় এক মিলনায়তনে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা মুন্সিরহাট ইউনিয়নের নির্বাচনী দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের আরও বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের যে সময় নির্ধারণ করা হয়েছে, তা সামনে রেখে আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। পরিবর্তনের ফসল হিসেবে যে সংস্কার প্রয়োজন এবং একটি নতুন বাংলাদেশের সৃষ্টি হিসেবে যে পরিবর্তন প্রয়োজন। নেতৃত্ব এবং দলের গুনগত একটি ইমপ্রুভমেন্ট প্রয়োজন। সেখানে জামায়াতে ইসলামী অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। রাষ্ট্রীয় সংস্কারের ক্ষেত্রেও আমাদের ভূমিকা খুব স্পষ্ট। দীর্ঘদিন পরিশ্রম করে সরকারের নীতিমালার ভিত্তিতে সব দল মিলে আমরা একটি জুলাই সনদ তৈরি করেছি। এই আকাঙ্ক্ষায়, এই লক্ষ্যে, এই উদ্দেশ্যে যে পরিবর্তিত যে সিদ্ধান্তগুলো আমরা নিয়েছি সেটাকে সন্নিবেশিত করে যে জুলাই সনদ তৈরি করা হয়েছে। এটাকে আমরা জুলাই চার্টার বলছি। সেইটার ভিত্তিতে আগামী নির্বাচন হবে। এটাই হচ্ছে মৌলিক কথা।
ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা জাফর আহাম্মদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন- কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আমীর অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শাহজাহান, উপজেলা আমীর মাহফুজুর রহমান, সাবেক উপজেলা আমীর ভিপি সাহাব উদ্দিন, উপজেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ বেলাল হোসাইন প্রমুখ। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট চিকিৎসক ও সমাজ সেবক অধ্যাপক ডা. মো. সফিকুর রহমান পাটোয়ারী, জামায়াত নেতা নুরে আলম মিয়াজি, হাফেজ বদিউল আলম, শাখাওয়াত হোসেন শামিম, ছাত্রনেতা মোশাররফ হোসেন, মোজাম্মেল হোসেন, নাসিম মিয়াজিসহ অন্যান্যরা।
