শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) গাজীপুরের কোনাবাড়িতে শ্রমিক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনা শ্রমিকদের হত্যা করেছে, ছাত্রদের হত্যা করেছে। পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করে দেশে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। তবে শেখ হাসিনা পালালেও তার প্রেতাত্মারা এখনও এদেশে আছে। তারা ভাবে আবার শেখ হাসিনা ফিরে এলে, আবার তারা লুট করতে পারবে।
এ অবস্থায় ছাত্র-শ্রমিক হত্যা করা শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত ভালো কিছু করেনি বলে মনে করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ভারতকে আমরা বলেছি যে গণহত্যা করেছে তাকে জায়গা দেবেন না, তারা এখনও কথা শোনেনি। তাই অন্তর্বর্তী সরকারকে বলছি, ভারতকে চিঠি দিতে, যাতে তারা শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠায়।
শিল্প ও কারখানা রক্ষায় টাস্কফোর্স গঠনের ওপর জোর দেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ২০২৩ সালে রফতানির ৮৫ ভাগ এসেছে পোশাকখাত থেকে। ৫০ লাখ ১৭ জার ৬৫২ শ্রমিক কাজ করে গার্মেন্টস সেক্টরে। আমাদের গার্মেন্টস সেক্টরকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। টাস্কফোর্স গঠন করে শিল্পরক্ষায় সরকারকে অগ্রণী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ করার তাগাদা দিয়ে তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা দায়িত্ব দিয়েছি, সব দলের সঙ্গে কথা বলে তাদের একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা আশা করবো তারা অতিদ্রুত সংস্কার শেষ করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।
এ সময় সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, আমাদের চোখ-কান খোলা রেখে স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হবে। সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানাচ্ছি একসঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যেন দেশ গড়ে তুলতে পারি।