

রাজধানীতে সংঘটিত সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত দৈনিক প্রথম আলো, ডেইলি স্টার ও ছায়ানটের কার্যালয় পরিদর্শন করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের (জিএসএ) নেতৃবৃন্দ।
আজ শুক্রবার গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ, তাসলিমা আখতার ও হাসান মারুফ রুমী বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সংঘটিত হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে আবুল হাসান রুবেল বলেন, শহীদ শরিফ ওসমান হাদি ইতিবাচক ধারায় গণতান্ত্রিক পথে রাজনীতি বিনির্মাণ করছিলেন। নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে জনগণের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে তিনি মানুষের কাছে আপন হয়ে উঠেছিলেন। তার ওপর হামলা ও হত্যাকাণ্ড দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির ওপর সরাসরি আঘাত। অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের আওতায় আনতে হবে।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলার কথা উল্লেখ করে গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখতার বলেন, এই হামলা বাংলাদেশের গণমাধ্যম, বাকস্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথে দেশ এগোচ্ছে, তাকে ব্যর্থ করে দিতে দেশি-বিদেশি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী সক্রিয়। প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই দাঙ্গাবাজির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।
তিনি বলেন, গতকাল রাতে ছায়ানট, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো প্রতিষ্ঠানে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর ঘটনায় সারা দেশের মানুষ যখন শোকাহত ও বিচার প্রত্যাশী, তখন একটি গোষ্ঠী নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। সিসিটিভি ফুটেজে শনাক্ত হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করার দাবি জানান তিনি।
এদিকে পৃথক এক বিবৃতিতে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, শরিফ ওসমান হাদির হত্যার ঘটনায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
পাশাপাশি গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াতে হবে। পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তি ও তাদের দেশি-বিদেশি দোসররা নৈরাজ্য সৃষ্টি করে নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে। তাদের প্রতিহত করতে জনগণের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।