

আইরিশরা যেন দাঁড়াতেই পারলো না। যদিও তাদের লোয়ার অর্ডার ভালোই খেলেছে। ৮৫ রানে ৫ উইকেট হারানো দলটি দ্বিতীয় ইনিংসে তুলেছে ২৫৪ রান। ফিফটি করেছেন ম্যাকব্রাইন। বলবার্নি করেছেন ৩৮, নিল করেছেন ৩৬ রান। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়া ম্যাকার্থির ব্যাট থেকে এসেছে ২৫ রান।
সে যাই হোক, সাড়ে তিন দিনেই আয়ারল্যান্ডকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। এক ইনিংস এবং ৪৭ রানে জিতেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। শেষ উইকেটে ৫৬ বলে ৫৪ রানের জুটি গড়ে ইনিংস হার এড়ানোর চেষ্টা করেছিল আইরিশরা। তবে হাসান মুরাদ এবং তাইজুল ইসলামরা শেষ পর্যন্ত দাপট দেখিয়ে গেছেন। ম্যাচসেরা হয়েছেন ১৭১ রান করা মাহমুদুল হাসান জয়।
সিলেট টেস্টে জয়ের সুবাস নিয়েই শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) চতুর্থ দিনটা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। ৮৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছিল আয়ারল্যান্ড। ম্যাকব্রাইনের সঙ্গে ছিলেন ম্যাথিউ হামফ্রেস। এরপরই শুরু ম্যাকব্রাইনের প্রতিরোধের। সে জুটি থেকে আসে ৩১ রান। এরপর হামফ্রেসকে বিদায় করে জুটিটা ভাঙেন তাইজুল ইসলাম। তাকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ারে থাকা সাদমানের হাতে ক্যাচ দেন হামফ্রেস।
এরপর উইকেটে আসা অ্যান্ড্রু বালবার্নিকে নিয়ে লড়াই শুরু করেন ম্যাকব্রাইন। এই জুটি থেকে আসে ৬৬ রান, যা এ পর্যন্ত আইরিশদের সর্বোচ্চ জুটি। বালবার্নিকে বিদায় করেন হাসান মুরাদ। বিদায়ের আগে ৩৮ রান করেন আইরিশ অধিনায়ক।
এদিক থেকে ম্যাকব্রাইন লাঞ্চ বিরতির আগেই ফিফটি তুলে নিয়েছিলেন। তবে লাঞ্চের পরে আর ২ বলই টিকতে পারেন তিনি। ১০৬ বলে ৫২ রান করে ফেরেন তিনি, শিকার বনে যান নাহিদ রানার। তার বিদায়ের পর ব্যারি ম্যাকার্থি আর জন নেইল মিলে নবম উইকেটে তোলেন ৫৪ রান। হাসান মুরাদের শিকার হয়ে নেইল বিদায় নিলে ভাঙে সে জুটি। এরপর ম্যাকার্থি তাইজুলের তৃতীয় শিকার হতেই ইনিংস ও ৪৭ রানের জয় ধরা দেয় বাংলাদেশের হাতে। হাসান মুরাদ ৪, তাইজুল ৩ ও নাহিদ রানা নেন ২টি উইকেট
এর আগে প্রথম ইনিংসে আয়ারল্যান্ডকে প্রথম ইনিংসে ২৮৬ রানে অলআউট করে দিয়েছিল বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজ নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। হাসান মুরাদ, হাসান মাহমুদ ও তাইজুল ইসলাম নিয়েছিলেন ২টি করে উইকেট।
জবাবে বাংলাদেশ ৫৮৭ রানের পাহাড় গড়ে ইনিংস ঘোষণা করে। মাহমুদুল হাসান জয় ১৭১, নাজমুল হোসেন শান্ত ১০০, সাদমান ইসলাম ৮০, মুমিনুল হক ৮২ ও লিটন দাস করেন ৬০ রান।