
উদ্বোধনী জুটিতে ১৭৬ রানের পরও শেষ দিকে তেমন বড় সংগ্রহ পেল না বাংলাদেশ। সাইফ হাসানের বিদায়ের পর বাকি ১৪৫ বলে তারা করতে পারল মোটে ১২০ রান।
নির্ধারিত ৫০ ওভারে বাংলাদেশ থামল ২৯৬ রানে। মিরপুরে গত ৭ বছরের মধ্যে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩২০ রান করেছিল তারা।
বাংলাদেশের বড় সংগ্রহের কারিগর দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও সাইফ। দেশের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটির রেকর্ড গড়ে ১৭৬ রান যোগ করেন তারা দুজন।
তবে দুজনের কেউই সেঞ্চুরি করতে পারেননি। ৬টি করে চার-ছক্কায় ৮০ রান করে আউট হন সাইফ। আর সৌম্যর ব্যাট থেকে আসে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় করেন ৯১ রান।
এরপর একাধিক জীবন পাওয়া নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে আসে ৫৫ বলে ৪৪ রান। তিন নম্বরে নেমে ২৮ রান করতে ৪৪ বল খেলেন তাওহিদ হৃদয়।
পরের ব্যাটাররা হতাশ করলে তিনশ ছোঁয়া হয়নি বাংলাদেশের। সব মিলিয়ে ইনিংসে ১৪টি ছক্কা মারে বাংলাদেশ। যা এক ম্যাচে তাদের রেকর্ড।
২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪৩ ওভারে নেমে আসা ম্যাচেও ১৪টি ছক্কা মেরেছিল বাংলাদেশ। সেদিন তামিম ইকবাল ৬টি ও লিটন কুমার দাস মেরেছিলেন ৮টি ছক্কা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন আকিল হোসেন। তাদের ফিল্ডাররা ছেড়ে দেয় ৬টি ক্যাচ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৯৬/৮ (সাইফ ৮০, সৌম্য ৯১, হৃদয় ২৮, শান্ত ৪৪, অঙ্কন ৬, রিশাদ ৩, নাসুম ১, সোহান ১৬*, মিরাজ ১৭; আকিল ১০-১-৪১-৪, চেজ ৮-১-৫৩-১, পিয়েরে ১০-০-৪৬-০, গ্রিভস ৭-০-৬১-০, মোতি ৮-০-৫৩-১, আথানেজ ৭-০-৩৭-২)