

মোস্তাফিজুর রহমানকে দলে পেতে শুরুতেই লড়াইয়ে নামল চেন্নাই সুপার কিংস, তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এক পর্যায়ে হাল ছাড়ল দিল্লি ক্যাপিটালস। মোস্তাফিজের সাবেক এই দুই দলের লড়াইয়ের মাঝে এরপর ঢুকে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। চেন্নাইর প্রবল চেষ্টা ছাপিয়ে বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসারকে রেকর্ড মূল্যে প্রথমবার দলে নিয়ে নিল তারা।
মঙ্গলবার আইপিএলের নিলামে ৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতে মোস্তাফিজকে দলে নিয়েছে কলকাতা। আইপিএলের ইতিহাসে বাংলাদেশের কোন ক্রিকেটারের এটাই সর্বোচ্চ মূল্য। এর আগের রেকর্ডও অবশ্য মোস্তাফিজেরই ছিলো। আইপিএলের গত আসরে বদলি হিসেবে ৬ কোটি রুপিতে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলেছিলেন মোস্তফিজ।
বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের নাম উঠতেই নিলাম শুরু হয় ২ কোটি রুপি থেকে। গত মৌসুমে তিনি দিল্লি ক্যাপিটালসের (ডিসি) হয়ে শেষ মুহূর্তের বদলি হিসেবে খেলেছিলেন। ফিজের জন্য প্রথম দর হাঁকে ডিসি, এরপর চেন্নাই সুপার কিংস (সিএসকে) নিলামে যোগ দিয়ে তাদের চ্যালেঞ্জ জানায়। অতীতে সিএসকের হয়ে মুস্তাফিজ ভালো পারফরম্যান্সও করেছেন।
দর দ্রুতই ৫ কোটির দিকে এগোতে থাকে, সিএসকে ও ডিসির মধ্যে চলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। শেষ পর্যন্ত ডিসি সরে দাঁড়ায়। ৫.৪ কোটিতে এগিয়ে থাকে সিএসকে। ঠিক তখনই নতুন বিডার হিসেবে হাজির হয় কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। সিএসকে দর বাড়িয়ে নেয় ৭ কোটিতে। সিএসকে একটু সময় নেয় হিসাব-নিকাশের জন্য। এরপর আবারও নিলামে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
ফিজের জন্য বড় অঙ্কের পারিশ্রমিক নিশ্চিত হয়ে যায়। ফ্লেমিং কাসির সঙ্গে কথা বলেন, তারপর দর বাড়িয়ে নেয় ৯ কোটিতে। কেকেআর একেবারেই অনড়। ৯.২ কোটিতে এগিয়ে যায় তারা। সিএসকে সরে দাঁড়ায়। শেষ পর্যন্ত ৯.২ কোটি রুপিতে মুস্তাফিজুর রহমানকে দলে নেয় কেকেআর।
২০১৬ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএল অভিষেক মোস্তাফিজের। শুরুর আসরেই জেতেন শিরোপা, হয়েছিলেন সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়। এরপর খেলছেন নিয়মিত । সানরাইজার্সের পর রাজস্থান রয়্যালস, চেন্নাই সুপার কিংস, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলেছেন তিনি। ৬ষ্ঠ দল হিসেবে এবার নামবেন কলকাতার জার্সিতে।
মোস্তাফিজ রেকর্ড দাম পেলেও অবিক্রিত থেকে যান বাংলাদেশের আরেক পেসার তাসকিন আহমেদ।