

ছবি সংগ্রহ
মহাকাশ সেক্টরেও সৌদি আরব পিছিয়ে থাকতে চায় না। তারা উদ্ভাবন, টেকসই প্রকল্প আর আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানোর মাধ্যমে মহাকাশ সেক্টরে বৈশ্বিক নেতা হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাইছে।
জানা গেছে, ক্যান্সার, ক্লাউড সিডিং, মহাকাশে মাইক্রোগ্রাভিটি নিয়ে গবেষণা করতে সৌদি নভোচারীরা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গেছেন।
এরই মধ্যে দুই সৌদি নভোচারী আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছেছেন। এটি একটি শক্তিশালী মহাকাশ খাত তৈরি করার জন্য সৌদি আরবের উচ্চাকাঙ্ক্ষার একটি পদক্ষেপ।
সৌদি তার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে রিয়াদে ‘সেন্টার ফর দ্য ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভলিউশন’ (সিফোরআইআর) নামে একটি প্রকল্প উদ্বোধন করছে। সৌদি স্পেস এজেন্সির তত্ত্বাবধানে তারা সেন্টার ফর ফিউচার স্পেসেস নামেও আরেকটি সংস্থা চালু করতে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, মহাকাশ গবেষণায় এই দুটি প্রকল্প বেশ সাড়া জাগাবে।
বিশেষত এই প্রকল্প দুটি হাতে নেওয়ার পর থেকে মহাকাশ খাতে সৌদি নানামুখী উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শও পাচ্ছে।
তেলনির্ভর দেশ সৌদি আরব তার অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য ও বহুমুখীকরণের অংশ হিসেবে ভিশন-২০৩০ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সৌদি আরব ২০৩০ সালের মধ্যে তার অর্থনৈতিক অবস্থান সুদৃঢ় করতে যেসব কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, সিফোরআইআর প্রকল্পটি এরই অংশ।
সৌদি আরবের এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী মহাকাশ প্রকল্প সম্পর্কে সদ্যঃসমাপ্ত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে নিকোলাই খ্রিস্টোভ মন্তব্য করেছেন, ‘বুঝতে পারছি, মহাকাশ শিল্প খুব দ্রুত বিবর্তিত হতে যাচ্ছে।
তাই নতুন প্রায়োগিক চিন্তাধারা লাগবে। সৌদি আরবের ‘সেন্টার ফর ফিউচার স্পেসেস’ খুবই একটি আগ্রহোদ্দীপক সময়ে গঠিত হয়েছে।’
সেন্টার ফর ফিউচার স্পেসেস নামের সংস্থাটিতে সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ভূমিকা রাখার সুযোগ পাবে। তবে এই সংস্থার একটি মৌল উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি টেকসই মহাকাশ কর্মসূচি গড়ে তোলা।
সূত্র : এরাব নিউজ