

গত ৫ জুন মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের তৈরি স্টারলাইনার মহাকাশযানে চড়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন নাসার দুই নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর।
মাত্র আট দিন মহাকাশ স্টেশনে থাকার কথা থাকলেও নিজেদের মহাকাশযানের ইঞ্জিনে গোলযোগ দেখা দেওয়ায় সাত মাসের বেশি সময় ধরে পৃথিবীতে ফিরতে পারছেন না তাঁরা। পৃথিবীতে ফিরতে না পারলেও এবার নাসার অপর নভোচারী নিক হেগকে নিয়ে স্পেসওয়াক করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের বাইরের দিকে থাকা বিভিন্ন যন্ত্রাংশ মেরামত শুরু করেছেন সুনিতা উইলিয়ামস।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের কমান্ডার হিসেবে সুনিতা উইলিয়ামস ১৬ জানুয়ারি প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা মহাকাশে স্পেসওয়াক করেন। এ সময় সুনিতা উইলিয়ামস ও নিক হেগ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকা রেট গাইরো নামের একটি যন্ত্র প্রতিস্থাপনের কাজ করেন। এ ছাড়া নিউট্রন স্টার ইন্টেরিয়র কম্পোজিশন এক্সপ্লোরার নামের একটি এক্স-রে টেলিস্কোপের জন্য আলোর ফিল্টারও মেরামত করেন তাঁরা। ২৩ জানুয়ারি আবারও মহাকাশে স্পেসওয়াক করবেন সুনিতা উইলিয়ামস ও নিক হেগ।
বেশ কয়েকবার চেষ্টার পরও সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোরকে বহন করা নভোযান মেরামত করা সম্ভব হয়নি। আর তাই ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্পেসএক্সের নভোযানে দুই নভোচারীকে ফেরত আনার উদ্যোগ নিয়েছে নাসা। আগামী মার্চ বা এপ্রিলে তাঁদের পৃথিবীতে ফেরত আনা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নিয়মিত বিরতিতে মহাকাশচারীরা সফর করে বিভিন্ন ধরনের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা পরিচালনা করেন। সাধারণত মহাকাশ স্টেশনে কোনো ত্রুটি দেখা দিলে মহাকাশচারীরা দ্রুত তা মেরামত করার চেষ্টা করেন।
সূত্র: বিবিসি